দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ১ এপ্রিল শনিবার স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে জোহানেসবার্গের ব্রি স্ট্রিটে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।
নিহত সোহাগ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সোহাগের বড় ভাই মো. বেলাল হোসেন বলেন, ১০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যান সোহাগ। ২০২০ সালে দেশে এসে বিয়ে করেন। চার মাস আগে তার ফুটফুটে একটি ছেলে হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাবিব উল্যাহ। রমজানের ঈদের পর ছেলেকে দেখার জন্য বাড়ি আসার কথা ছিল সোহাগের।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জানানো হয়, ওই দেশের রাত আটটার দিকে ছয়-সাতজন ডাকাত দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে। এ সময় একটি গুলি সোহাগের মাথায় লাগে। পরে প্রবাসী বাঙালিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ এপ্রিল রোববার দুপুরে সোহাগের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার ছেলে হাবিবকে কোলে নিয়ে মাতম করছেন তার জেঠা ও ফুফুরা। সোহাগের বৃদ্ধ বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আত্মীয়স্বজনেরা বাড়িতে এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন।
সোহাগের শ্বশুর মো. আবদুল মতিন জানান, ২০২০ সালে সোহাগের সঙ্গে আমার মেয়েকে বিয়ে দিই। চার মাস আগে আমার একটি নাতি হয়েছে। তাকে দেখার জন্য দেশে আসার কথা ছিল সোহাগের। ডাকাতরা তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। এখন আমরা সোহাগের হত্যার বিচার চাই এবং মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চাই।
নাটেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন খোকন বলেন, সোহাগের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
আরএএস