ছবি:কিয়োদো নিউজ
জাপানে ৮ বছরে প্রথমবারের মতো বেড়েছে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন।সরকারি তথ্য থেকে জানায় করোনাভাইরাস মহামারির পরে ২০২১ অর্থবছরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস নি:সরণ ৮ বছরে প্রথমবারের মতো বেড়েছে।
মার্চ মাস পর্যন্ত জাতীয় নির্গমন মোট ১.১৭ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমতুল্য যা ২০২০ অর্থবছরের থেকে ২.০ শতাংশ বেশি।বনের দ্বারা শোষিত গ্যাসগুলি মোট নির্গমন থেকে বিয়োগ করা হয়, তখন এই সংখ্যাটি ১.১২ বিলিয়ন টন হয় যা ২০২০ অর্থবছর থেকে ২.০ শতাংশ বেশি।
২০১৩ অর্থবছরের স্তর থেকে ২০.৩ শতাংশ হ্রাসের প্রতিনিধিত্ব করেছে জাপান। এ হিসাবে ব্যবহার করে ২০৩০ অর্থবছরের মধ্যে ৪৬ শতাংশ গ্যাস হ্রাস করার লক্ষ্য থেকে এখনও অনেক দূরে রয়েছে জাপান।
পরিবেশ মন্ত্রী আকিহিরো নিশিমুরা বলেন,অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে সর্বশেষ যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হয়েছে তা ২০১৯ অর্থবছরের তুলনায় ৩.৪ শতাংশ কম।
এছাড়া ২১ এপ্রিল পরিবেশ মন্ত্রী বলেন,একটি নির্দিষ্ট মাত্রার অগ্রগতি হয়েছে কারণ আমরা ২০৩০ অর্থবছরে ৪৬ শতাংশ গ্যাস হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়েছি।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রাথমিক উপাত্তে দেখা যাচ্ছে ২০২১ অর্থবছরে, শিল্প খাত শক্তি-সম্পর্কিত কার্বন নির্গমন ২০২০ সালের তুলনায় ৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।পরিবহন খাতে এই ধরনের নির্গমন ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।দোকান ও অফিস সহ বাণিজ্যিক খাতে নির্গমন ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।গৃহস্থালী খাতে, নির্গমন ৬.৩ শতাংশ কমেছে করোনভাইরাস বিধিনিষেধ সহজ করার কারণে লোকদের বাড়িতে কম সময় কাটানোর জন্য।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী,২০২১ সালে জাপান ছাড়াও অন্যান্য দেশগুলি - ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - এছাড়াও প্রত্যেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে একক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫.৫৯ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করেছে। এছাড়া জার্মানি ৭৬০ মিলিয়ন টন, কানাডা ৬৫০ মিলিয়ন টন, ব্রিটেন ৪৩০ মিলিয়ন টন, ফ্রান্স ৪০০ মিলিয়ন টন এবং ইতালি ৩৯০ মিলিয়ন টন।
এরআগে এপ্রিল মাসে জাপানে দুই দিনের বৈঠক করেন জি-৭ এর জ্বালানি, জলবায়ু এবং পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীরা।বৈঠকে মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা ২০৫০ সালে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করতে চাওয়ায় জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা করবে।
আর সি