ছবি:দ্যা মাইনিচি
ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে পানি ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ শুক্রবার সিউল এবং জাপানের অনলাইন আলোচনায় জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের একটি পরিদর্শন নিয়ে আলোচনা করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানান,পানি ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে জাপান সরকার সুনামি-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্রের অবস্থা সম্পর্কে আপডেট দেবে বলে আশা করেছিলেন তারা।এটি ডিকমিশন প্রক্রিয়ার জন্য একটি অনিবার্য পদক্ষেপ বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
জাপান সরকার এবং প্ল্যান্টের অপারেটর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস জানায়, আমরা এ বছরের বসন্ত কিংবা গ্রীষ্মেই পানি সমুদ্রে ফেলব বলে আশা করছি। শেষ হতে কয়েক দশক সময় লাগবে বলেও জানায় টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি।
এরআগে ২০১১ সালের সুনামির পর থেকে বিকল হয়ে যায় এই পরমাণু কেন্দ্রটি। তখন থেকে পরমাণু কেন্দ্রের ট্যাঙ্কগুলোতে পানি জমে আছে। এই পানি নিয়ন্ত্রিতভাবে মুক্ত না করলে পারমাণবিক কেন্দ্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সরকার এবং টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার জানায়,প্ল্যান্টের বিচ্ছিন্নকরণের সুবিধা তৈরি করার জন্য ফুটো ট্যাঙ্কগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে।এছাড়া ২০২৪ সালের বসন্তে ট্যাঙ্কগুলোর ক্ষমতা ১.৩৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি নীতির অফিসের প্রথম ভাইস মিনিস্টার পার্ক কু-ইয়ন বলেন,২৩-২৪ মে ফুকুশিমা দাইচি প্ল্যান্ট পরিদর্শন করতে সিউল প্রায় ২০ জন সরকারী বিশেষজ্ঞ পাঠাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।জাপানের সাথে আলোচনার পর পরিদর্শন দলের প্রকৃত আকার নির্ধারণ করা হবে কারণ জাপান বেসরকারী বিশেষজ্ঞদের গ্রহণ করতে নারাজ।যদিও এটি দুই সরকারের বিষয়।
তিনি বলেন, প্ল্যান্ট পরিদর্শনের লক্ষ্য জাপানের পানি শোধনাগার এবং অপারেশন ও প্রযুক্তিসহ সমগ্র সমুদ্র নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা।
জাপানি কর্মকর্তারা বলেন,পানিকে আন্তর্জাতিক মানের দ্বারা নিরাপদে নির্গমনযোগ্য মাত্রার নিচে ফিল্টার করা হবে এবং মুক্তির আগে প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক জল দ্বারা আরও মিশ্রিত করা হবে।এছাড়া বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জাপানকে সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা।
আর সি