- শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

| পৌষ ৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১৯ মে ২০২৩

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

ছবি:কিয়োদো নিউজ

আগামী সপ্তাহে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল।আজ শুক্রবার জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্র থেকে জানায়  জাপানের পরিকল্পিত তেজস্ক্রিয় জল সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার নিরাপত্তা মূল্যায়ন করতে আগামী সপ্তাহে বিপর্যয়-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করবে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানায়,নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কমিশনের প্রধান ইউ গুক হির নেতৃত্বে ২০ জন বিশেষজ্ঞসহ ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল ছয় দিনের সফরে রবিবার জাপানে পৌঁছাবে।সোমবার প্রাসঙ্গিক জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারী নীতি সমন্বয় অফিসের প্রথম উপপ্রধান পার্ক কু ইয়ন একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইউ গুক হির নেতৃত্বে ২০ জন বিশেষজ্ঞসহ ২১ সদস্য মঙ্গলবার এবং বুধবার ফুকুশিমা দাইচি প্ল্যান্টে প্রাসঙ্গিক সুবিধাগুলি পরিদর্শন করবে।পরিদর্শনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে  বৃহস্পতিবার আরেকটি বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

পার্ক জাপানের সাথে কাজ করার সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করার সময় বলেন,আমরা পরিদর্শনের মাধ্যমে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি।

দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে পরিদর্শনের বিশদ বিবরণ তৈরি করতে দেখা করেছেন।দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির মধ্যে এই মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার বৈঠকের সময়  ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের বিষয়ে একমত হয়েছেন।

জাপানি কর্মকর্তারা বলেন,পানিকে আন্তর্জাতিক মানের দ্বারা নিরাপদে নির্গমনযোগ্য মাত্রার নিচে ফিল্টার করা হবে এবং মুক্তির আগে প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক জল দ্বারা আরও মিশ্রিত করা হবে।এছাড়া নিরাপত্তা,বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জাপানকে সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা।আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পানি নিষ্কাশনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সমুদ্রের পরিবেশে শোধিত পানির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার।

এরআগে ২০১১ সালের সুনামির পর থেকে বিকল হয়ে যায় এই পরমাণু কেন্দ্রটি। তখন থেকে পরমাণু কেন্দ্রের ট্যাঙ্কগুলোতে পানি জমে আছে। এই পানি নিয়ন্ত্রিতভাবে মুক্ত না করলে পারমাণবিক কেন্দ্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

সরকার এবং টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার জানায়,প্ল্যান্টের বিচ্ছিন্নকরণের সুবিধা তৈরি করার জন্য ফুটো ট্যাঙ্কগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে।এছাড়া ২০২৪ সালের বসন্তে ট্যাঙ্কগুলোর ক্ষমতা ১.৩৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।      

আর সি