ছবি:দ্যা মাইনিচি
ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শন শুরু করলো দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল।আজ মঙ্গলবার জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্র থেকে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল জাপানের পরিকল্পিত তেজস্ক্রিয় জল সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার নিরাপত্তা মূল্যায়ন করতে ২ দিনের জন্য পরিদর্শন শুরু করলো দুর্যোগে-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
জাপানের সরকারি সূত্র থেকে জানায়,নিউক্লিয়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কমিশনের প্রধান ইউ গুক হির নেতৃত্বে ২০ জন বিশেষজ্ঞসহ ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল ছয় দিনের সফরে রবিবার জাপানে পৌঁছেছে।ইউ গুক হির নেতৃত্বে ২০ জন বিশেষজ্ঞসহ ২১ সদস্য আজ মঙ্গলবার এবং বুধবার ফুকুশিমা দাইচি প্ল্যান্টে প্রাসঙ্গিক সুবিধাগুলি পরিদর্শন করবে।
সরকারি সূত্র থেকে জানায়,সরকার এবং প্ল্যান্টের অপারেটর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস ইনক এই গ্রীষ্মে একটি আন্ডারওয়াটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্ল্যান্ট থেকে ১ কিলোমিটার দূরে তেজস্ক্রিয় জল শোধন করা শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।এছাড়া পানিকে আন্তর্জাতিক মানের দ্বারা নিরাপদে নির্গমনযোগ্য মাত্রার নিচে ফিল্টার করা হবে এবং মুক্তির আগে প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক জল দ্বারা আরও মিশ্রিত করা হবে।এছাড়া নিরাপত্তা,বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জাপানকে সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা।
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,"আমরা তথ্যসহ ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিতে চাই।আমরা আশা করি যে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিঃসরণের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারবে।''
শুক্রবার দেশ ছাড়ার আগে বিশেষজ্ঞরা বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিদর্শন নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
এরআগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এই মাসের শুরুর দিকে সিউলে তাদের বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দলের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের বিষয়ে একমত হন।
২০১১ সালের সুনামির পর থেকে বিকল হয়ে যায় এই পরমাণু কেন্দ্রটি। তখন থেকে পরমাণু কেন্দ্রের ট্যাঙ্কগুলোতে পানি জমে আছে। এই পানি নিয়ন্ত্রিতভাবে মুক্ত না করলে পারমাণবিক কেন্দ্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
উল্লেখ্য,হিরোশিমায় শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে IAEA এর পর্যালোচনা এবং জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের স্বচ্ছ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে জি-৭ এর নেতারা।
আর সি