প্রায় এক যুগ আগে রপ্তানির প্রধান এ খাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। সেই সংখ্যা বেড়ে এখন ২১৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
সবুজ কারখানা তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বড় অবদান রাখছে বলে মনে করছেন খাতের উদ্যোক্তারা।
রোববার (২৪ মার্চ) পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে আরও একটি পোশাক কারখানা। এ নিয়ে দেশের সবুজ কারখানা বেড়ে হলো ২১৪টি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়। নতুন সনদ পাওয়া কারখানাটির নাম এপিএস নীট কমপোজিট লিমিটেড। গাজীপুর পূবাইলের কমরগাওয়ে অবস্থিত কারখানাটি।
জানা যায়, ২০১২ সালে পোশাকশিল্প উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে প্রথম পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার যাত্রা শুরু হয় দেশে। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত কারখানাটি হলো ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও।’ এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা।
পরিবেশ বান্ধব (সবুজ) কারখানা মানে বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছে আলাদা কদর পাওয়া। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত হওয়ায় বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা তৈরি হয়। আবার এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষিও করা যায়। এসব কারখানা দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।
এম কে এম