ছবি:ইন্টারনেট
প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন রোগীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। তবে এবারে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বড়দের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হচ্ছে ছোটরাও। এতে অভিভাবকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।এ অবস্থায় বাড়ির বড়দের সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভারতের নিওনেটলজিস্ট নিশান্ত বনশাল বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
শিশুদের করোনায় আক্রান্তের লক্ষণ
জ্বর; সর্দি; শ্বাস নেওয়ার সমস্যা; ঠান্ডা লাগার অন্যান্য লক্ষণ যেমন- নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা; কাঁপুনি; শিশুর খাবারে অনীহা বা খাবারে স্বাদ না পাওয়া (৮ বছরের ওপর বয়সীদের) বমি হওয়া,ডায়রিয়া, ক্লান্তি,গা হাত পায়ে ব্যথা এবং মাথা ব্যথা।
অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শিশুর পুরো শরীরে প্রদাহ দেখা দিচ্ছে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর। এমনকি, করোনা সংক্রমণের কয়েক সপ্তাহ পরও এসব লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের ভাষায় এটিকে বলা হচ্ছে, মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি এন চিল্ড্রেন (এমআইএস-সি)।ভারতের নিওনেটলজিস্ট নিশান্ত বনশাল জানান শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার লক্ষণ নিয়ে আরও নানা গবেষণা চালাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।
নিওনেটলজিস্ট নিশান্ত বনশাল বলেন, সন্তানেরও যদি এমআইএস-সি’র সমস্যা হয় তাহলে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। এছাড়াও শিশু বুকে একটা চাপ অনুভব করবে, ঠোঁট আর মুখ নীলচে হয়ে যাবে ও জেগে থাকতে সমস্যা হবে।এসব লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে না গিয়ে দ্রুত সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের এই চিকিৎসক।
তিনি আরও বলেন,এসব সমস্যায় যেসব শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সেরে ওঠতে হাসপাতালের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে। কখনো কখনো আইসিইউতেও ভর্তি করতে হচ্ছে।এমআইএস-সি’র আরও কিছু লক্ষণ হলো- জ্বর; পেটে ব্যথা; বমি বা ডাইরিয়া; ত্বকে র্যাশ; চোখ লাল হয়ে যাওয়া; ঠোঁট লালচে দেখানো, ফেটে যাওয়া; হাত ও পা ফুলে যাওয়া।
২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের বাড়ির বাইরে মুখে মাস্ক পরতে হবে। একইসঙ্গে মুখে হাত না দেওয়া, খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানান নিওনেটলজিস্ট নিশান্ত।
আর সি