৪২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম শিশু জন্মের রেকর্ড করেছে জাপান।আজ বৃহস্পতিবার সরকারী এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় দেশের নারীদের সন্তান জন্মদানের অনিচ্ছাসহ নানা কারণে কমেছে জন্মহার।
দেশের সবচেয়ে কম সংখ্যক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দেশটির সরকার।ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জন্মহার বাড়ানোর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য জাপানি তরুণ-তরুণীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কিসিদা বলেন,জন্মহার এখন এতই উদ্বেগজনক যে, আগামী কয়েক বছর পর হয়ত জাপান জনবলের অভাবে নিজেদের স্বাভাবিক কার্যক্রমই চালাতে পারবে না।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা ছিল ১৪.৩ মিলিয়ন, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৩০০,০০০ জন কম।সরকারী তথ্য আরও জানায়,অক্টোবর পর্যন্ত জাপানের ৪৭ টি প্রিফেকচারের শিশু জন্মের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে,৪০ মিলিয়নের বেশি জনসংখ্যার ৩৬টি দেশের মধ্যে জাপানের জনসংখ্যার অনুপাত সবচেয়ে কম।দক্ষিণ কোরিয়ার ১১.৬ শতাংশ এবং ইতালির ১২.৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানায়,২০২২ সালে জাপানে জন্ম নিয়েছে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৮ শিশু।২০২১ সালের তুলনায় যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে জন্মহার হ্রাস পেলেও মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।গত বছর দেশটিতে ১০ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, জন্মহার কম মানে ভবিষ্যতে জাপানে কর্মক্ষম মানুষ এবং করদাতার সংখ্যা কমবে। এরমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিকে সামনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
আর সি