ছবি:কিয়োদো নিউজ
জাপানের জন্মহার মোকাবেলায় শিশুদের যত্নের বাজেট ২৫ বিলিয়ন বৃদ্ধির ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।আজ বুধবার তার মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন জাপানের বার্ষিক শিশু যত্নের বাজেট প্রায় ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন ($২৫ বিলিয়ন) বৃদ্ধির জন্য।
সরকারি সূত্র থেকে জানায়,২০২৪ অর্থবছর থেকে শিশু যত্ন সহায়তার জন্য পূর্বে প্রস্তাবিত প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন থেকে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।তহবিলের অংশ সুরক্ষিত করার জন্য ২০২৮ অর্থবছরের মধ্যে একটি বিকল্প, স্থিতিশীল তহবিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত বার্ষিক শিশু যত্নের বাজেট প্রায় ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন ইস্যু করবে সরকার।
সূত্র থেকে জানায়,সরকার কীভাবে শিশু-পালনকে সমর্থন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত একটি খসড়া পরিকল্পনা বৃহস্পতিবারের প্রথম দিকে উন্মোচন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেট অনুরোধ এই গ্রীষ্মে শুরু হতে চলেছে বলে জানায় সূত্র থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী শিগেইউকি গোটো তার অফিসে সাংবাদিকদের বলেন,প্রধানমন্ত্রী তাকে যেসব শিশুদের নিয়মিত চিকিত্সা যত্নের প্রয়োজন,শিশু দারিদ্র্য ও নির্যাতন মোকাবেলায় তহবিল বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী শিগেইউকি গোটো বলেন,এপ্রিল থেকে চলতি অর্থবছরের জন্য, শিশু এবং পরিবার-সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে কাজ করার জন্য একটি নতুন চালু হওয়া সংস্থার জন্য প্রায় ৪.৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ করেছে সরকার।পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে শিশু নীতিতে তার ব্যয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য রাখে সরকার।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা ছিল ১৪.৩ মিলিয়ন, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৩০০,০০০ জন কম।সরকারী তথ্য আরও জানায়,অক্টোবর পর্যন্ত জাপানের ৪৭ টি প্রিফেকচারের শিশু জন্মের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে,৪০ মিলিয়নের বেশি জনসংখ্যার ৩৬টি দেশের মধ্যে জাপানের জনসংখ্যার অনুপাত সবচেয়ে কম।দক্ষিণ কোরিয়ার ১১.৬ শতাংশ এবং ইতালির ১২.৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানায়,২০২২ সালে জাপানে জন্ম নিয়েছে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৮ শিশু।২০২১ সালের তুলনায় যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে জন্মহার হ্রাস পেলেও মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।গত বছর দেশটিতে ১০ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
দেশের সবচেয়ে কম সংখ্যক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দেশটির সরকার।ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জন্মহার বাড়ানোর ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য জাপানি তরুণ-তরুণীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
আর সি