ছবি:দ্যা মাইনিচি
দীর্ঘ ৬ বছর পর জাপানের ইমিগ্রেশন সেন্টারের আটকাদেশ থেকে মুক্তি পেয়েই অভিযোগ আনলেন এক ভিয়েতনামি নাগরিক গুয়েন ভ্যান হং (৫০)। গত ১৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। এ সময় তিনি ইমিগ্রেশনে বন্দীদের সঙ্গে "মানুষের মতো আচরণ" করারও আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যান হং অভিযোগ করে বলেন, ইমিগ্রেশনে আটক অবস্থায় গত ২০১৭ সালে তার থাইরয়েড গ্রন্থিতে টিউমার ধরা পড়ে। সে সময় তিনি তার চিকিৎসার বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার পরও তার চিকিৎসা করানো হয়নি।
চিকিৎসা না করিয়ে বরং কর্তৃপক্ষ তাকে বলে, "এতো কম বয়সে তোমার চিকিৎসার দরকার নেই" এমন দাবীও করেন এ ভিয়েতনাম নাগরিক।
নাগাসাকির ওমুরা সিটিতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ভ্যান হং তার শরীরের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে টিউমারটি এখন ধিরে ধিরে বড় হয়ে ৪ সে.মি. পর্যন্ত আকার ধারণ করেছে। যার কারণে তিনি খাবার কিংবা তরল কিছু পান করতে গেলে গলায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন বলেও দাবী করেন এই ভিয়েতনাম নাগরিক।
উল্লেখ্য, গুয়েন ভ্যান হং ১৯৮৯ সালে জাপানে আসেন এবং পরবর্তীতে শরনার্থীর আবেদন করলে তাকে ১৯৯২ সালে সে মর্যাদা দেয়া হয়। পরবর্তীতে খাবার চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে তার যুক্ত হবার অপরাধে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ৩ বছর ৪ মাস জেল খাটার পর ২০১৬ সালে ভ্যান হংকে ওসাকা ইমিগ্রেশন সেন্টারের হেফাজতে নেয়া হয় এবং ডিসেম্বরে তাকে ওমুরা ইমিগ্রেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।
আরএ