জাপানি এক দম্পতি প্রতি ৩ বছর পরপর একে অপরকে ডিভোর্স দিচ্ছেন তারপর আবার বিয়ে করেন।এই দম্পতির এমনটা করার কারণ জানেন কি? সেই কারণও বেশ অদ্ভুত। আসলে এই দম্পতি একে অপরকে বিয়ে করলেও নিজেদের পদবি ছেড়ে যেতে চাননি। এমত সময় তারা এক অদ্ভুত উপায় বের করে নেন। সে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই চরম ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই।
টোকিওর নিকটবর্তী হাচিওজি শহরে ঘটেছে এই অদ্ভুত কাণ্ড। সেখানেই এক দম্পতি বাস করেন যারা তাদের উপাধি সম্পর্কে খুব সংবেদনশীল। পরিচয়ের পর কয়েক মাস একে অপরকে ডেট করেন। তারপর ২০১৬ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন এই দম্পতি।
নিজেদের উপাধি পরিবর্তন যেন না করতে হয় এজন্য তারা উপায় খুঁজছিলেন। সেসময় তাদের এক বন্ধু সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
ঠিক সেই সময় ওই দম্পতি আরেক দম্পতির কথা জানতে পারেন যাদের একই ধরনের সমস্যা ছিল। যারা প্রথম এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। এরপর জাপানি এই দম্পতি সেই উপায় অবলম্বন করেন। তিন বছর পর পর পরস্পরকে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
২০১৬ সালে এই দম্পতি প্রথমবার বিয়ে করেন। তারপর স্ত্রী তার স্বামীর উপাধি গ্রহণ করেন। স্বামীর নাম নিজের নামের সঙ্গে ব্যবহার করা একদমই পছন্দ ছিল না এই নারীর। ২০১৯ সালে তারা ডিভোর্স দিয়ে দেন এবং আবার বিয়ে করেন। সেবার বিয়ের রেজিস্ট্রিতে নিজের প্রথম নাম লেখেন দুজনেই।
স্বামী তার স্ত্রীর উপাধি জুড়ে নেন নিজের নামে সঙ্গে। এভাবে কেটেছে আরও তিন বছর। এই বছরের জুলাইয়ে তারা আবার বিবাহবিচ্ছেদ করতে চলেছেন তৃতীয় বারের মতো। এই বিবাহ বিচ্ছেদের পরে স্ত্রী আবার আগামী তিন বছরের জন্য স্বামীর উপাধি গ্রহণ করবেন।
যদিও এভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের পদ্ধতি ছাড়াও, তাদের অন্য দেশে গিয়ে বিয়ে করার উপায় ছিল। সেখানে দম্পতিরা তাদের নিজ নিজ উপাধি রাখতে পারতেন। এরপর জাপানে ফিরে এখানকার আদালতে আবেদন করতে হত তাদের বিয়ের স্বীকৃতির জন্য।
দম্পতিদের মাঝে মাঝে এই ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা হয়। কারণ তাদের বারবার কাগজ আর সই-সাবুদেই জড়িয়ে থাকতে হয়। উভয়ই তাদের অফিসে তাদের আসল নাম নথিভুক্ত করেছেন, তবে অন্যান্য জায়গায় যেখানে অফিসিয়াল নথির প্রয়োজন হয়, তাদের দুজনকে সেই সব জায়গায় পর্যায়ক্রমে একে অপরের নাম নিতেই হবে।
আর সি