ছোটবেলা বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচন করা নিয়ে পড়েছি, জেনেছি। দেখার সুযোগ হয়নি সরাসরি কখনোও। তবে হ্যাঁ, পত্রিকা বা টেলিভিশনের পর্দায়ই আমি এবিষয় পড়েছি বা দেখেছি, জেনেছি। আমার ধারণা ছিলো বিশ্ব সুন্দরী কেবল গায়ের রঙ ফর্সা হলেই বোধ হয় নির্বাচিত হয়। আমার এমন ভাবনার ভুল ভেঙেছে, যখন দেখেছি, আফ্রিকার কালো মেয়েরাও বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচতি হয়, তখন। এই সুন্দরী নির্বাচনের আলাদা এক ব্যাখ্যা রয়েছে। যা এই অল্প পরিসরে লিখে ব্যাখ্যা করা আমার সম্ভব নয়।
কথাটি বলছি এজন্য যে, টোকিও বাংলা নিউজ ডট কম পোর্টালটি সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্যে জাপানে বাঙালি কমিউনিটিতে যাদের জানার কথা তারা জেনে গেছে। তাদের মধ্যেও আবার এরই মধ্যে এই পোর্টাল নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। আমি নিজেও অনেকের সাথে যোগাযোগ করছি এই বিষয় নিয়ে; কথা বলছি এই পোর্টাল সম্পর্কে। মূলতঃ কিভাবে এই পোর্টাল জাপানে বাঙালি কমিউনিটির কাছে আরো বেশি দ্রুত পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় করা যায়, সেই বিষয়ে সকলের পরামর্শ নিচ্ছি।
এ নিয়ে কথা বলার পর আমি পরিষ্কার যে, অনেকেরই মনোভাব এবং ধারনার সাথে আমার চিন্তা-চেতনার সমন্বয় হচ্ছে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমি তাদেরকে যতোই বলিনা কেনো যে, আমি নিরপেক্ষ। তাদের কেউই আমার কথা বিশ্বাস করবে না। বাস্তবতার নিরিখে তাই আমি এটুকু বলতে পারি, জাপানে টোকিও বাংলা নিউজ ডট কম ব্যক্তিগত ভাবে কারো লেজুরবৃত্তি করার জন্য প্রকাশ করছি না বা কোনো সংগঠনের লেজুর ভিত্তিক হবে না। চাইলে আপনি নিজেও হতে পারেন এর শুভাকাঙ্খী এবং পরামর্শদাতা। পারলে লেখকও হতে পারেন। সময় থাকলে এই সংবাদ মাধ্যমে যদি আপনি ভালো কিছু থাকে বলে মনে করেন তবে এর নিয়মিত পাঠকও হতে পারেন। এতে বরং কৃতার্থ হবো।
জাপানে আমি খুবই অল্প সময় ধরে আছি। এর মধ্যে এইটুকু বুঝতে পারছি, সাংবাদিকতা এবং লেখালেখির জগতে অনেকেই আছেন। থাকলেও তাদের মধ্যে কেউ কেউ খুব নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাপানে বাঙালি কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডে নীরব থাকাদের অতীত ইতিহাস আছে, তারাও একসময় বেশ সরব ছিলো অথচ কারো কারো লেখা ইতিহাসে তারা নেই। কেন নেই এর কারণ খুঁজতে আমার বেশি দূর যেতে হয়নি। দু-চারজনের সাথে কথা বলেই পরিষ্কার ধারণা নিতে পেরেছি। এখানে অনেকের মধ্যে উদারতার অভাব বা তাদের মধ্যে কৃপণতা লক্ষ করেছি। যেকোনো কারনে আমার মনে হয়েছে, তাদের যৌথভাবে কাজ করার মন-মানসিকতা নেই। আবার কেউ কেউ ফাঁকা মাঠে নিজেদের সিনিয়র সাংবাদিক ভাবছেন। এমনকি নিজেরাই নিজেদর নামের আগে লিখেন তারা সিনিয়র। কমিউনিটিতে তারা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের সিনিয়র সাজতে পছন্দ করছেন। কেউ আবার বলতেও পছন্দ করেন তারা সিনিয়র। এই জুনিয়র সিনিয়র ভাবার মনোভাব দূর না করলে সাংবাদিকতা আর লেখালেখি করে কেউ-ই সফল হবেন বলে আমার মনে হয় না।
টোকিও বাংলা নিউজ'র ক্ষেত্রে আমাদের মাঝে কেউ জুনিয়র বা সিনিয়র নই। মানসিকতার দিক থেকে আমরা সবাই সমান। আমি মনে করি এমনটা হতে পারলেই একে অপরকে সম্মানের ক্ষেত্র তৈরী হবে। তখন আলাদা করে আর জুনিয়র-সিনিয়র বলে প্রচার করার দরকার পড়বে না আমাদের কাউকেই।
সব শেষে যে বিষয়টি বলতে চাইছি তা হচ্ছে, আমরা কারো নই, কেউ আমাদের নয়। আমরা সবার হতে চাই। সবাইকে আমাদের করতে চাই।
আর এ সুজন
সম্পাদক
টোকিও বাংলা নিউজ ডট কম।