বাংলাদেশের যে কয়েকজন সাংবাদিক সবসময় যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি সমালোচনা করেন তার মধ্যে অন্যতম গোলাম মর্তুজা। ফেইসবুক, টকশো কিংবা দৈনিক পত্রিকাতে তিনি সবসময় অন্যায়ের সমালোচনামুখর থাকেন সবসময়। আজ পাঠকদের জন্য তার একটি স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলোঃ
ক্রিকেটে এই পরাজয় মানে সবকিছু শেষ নয়,তবে…কয়েকটি কথা:
১. বাংলাদেশের কোথাও নির্বাচন বা গণতন্ত্র নেই।ক্রিকেট বোর্ডে তা থাকবে, আশা করছি না।ক্রিকেট বোঝে মোটামুটি সৎ একজন মানুষকে বোর্ডের দায়িত্ব দিতে হবে।এমডি-রাজনীতিবিদ-সংসদ সদস্য দিয়ে বোর্ড পরিচালনার নীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।।
২. বোঝা যাচ্ছে মাশরাফি এই পদের দাবিদার।মাশরাফি বড় ক্রিকেটার, তারচেয়ে বড় অধিনায়ক।দেশের ক্রিকেটে তার অনেক অবদান।একই সঙ্গে দেশের ক্রিকেটের বড় ক্ষতির কারণও মাশরাফি।ক্রিকেটার-অধিনায়ক থাকা অবস্থায় রাজনীতি শুরু করেছে,এমপি হয়েছে।যা দেশের ক্রিকেটের জন্যে ক্ষতির কারণ হয়েছে।তাকে যারা রাজনীতিতে এনেছে দায় যদিও তাদেরই বেশি।এই ধারা বন্ধ করতে হবে।
এখন আর মাশরাফির গ্রহণযোগ্যতা সেই পর্যায়ে নেই,রাজনীতি-এমপি হওয়ার আগে যা ছিল।তাছাড়া খারাপ নজীর তৈরি করা কাউকে বিসিবির দায়িত্ব দেওয়া উচিত না।শুধু বিসিবির দায়িত্ব নয়,মাশরাফিকে ক্রিকেটের যে কোনো কিছু থেকে দূরে রাখা উচিত।
৩. সাকিবসহ যারা এমপি হওয়ার লাইনে আছে, যারা লাইনে দাঁড়াতে চাইছেন তাদের বিষয়ে কঠোর নিয়ম করা দরকার।খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় তারা রাজনীতির কাছাকাছিও যেতে পারবেন না।অবসর নিয়ে রাজনীতি করলে তখনো বোর্ডের থেকে দূরে রাখতে হবে।
৪. সাবেক ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ যারা বোর্ডে আছেন তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে।
৫. আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের দলের একজনকেই বোর্ডের সভাপতি করবেন,সেটা কোনো সমস্যা নয়।তবে তাকে ক্রিকেট বুঝতে হবে এবং তিনি ২৪ ঘন্টা ক্রিকেটের পেছনেই ব্যয় করবেন।
৬. ক্রিকেটারদের টাকা আরও বাড়ানো যেতে পারে।দেশ বাদ দিয়ে আইপিএল খেলতে যেতে পারবে না।প্রয়োজনে আইপিএল খেলে যে টাকা পাবে তা বোর্ড দেবে।
৭. যে কোনো জয়ে ‘ফোনাভিন্দন’ বন্ধ করতে হবে।সর্বপরি কোনো কোনো ক্রিকেটারের ‘ফোন ক্ষমতা’র উৎস বন্ধ করতে হবে।
দর্শকের ক্ষুদ্ধতার জবাব ক্রিকেটাররা দিতে পারবে না।বর্তমানে খেলছে এমন ক্রিকেটারদের বউ-ভাইদেরও দল বিষয়ে বা সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনা বা ক্রিকেটারকে নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
৮. বাংলাদেশের মানুষ তথা ক্রিকেট দর্শক ও তারকা ক্রিকেটারদের ভক্তদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।তাদেরকে মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভক্ত হতে হবে, অন্ধ তারকা ভক্ত নয়।কোনো তারকা ক্রিকেটারের কর্মকান্ড দল- দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে, দেশের স্বার্থ দেখার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।দেশ বাদ দিয়ে তারকার ভক্ত হওয়া যাবে না।
বি.দ্র: প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিসিবি’র অডিট করাতে হবে।