- রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

| পৌষ ৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

নারীদের বয়স ৩০ পার হলেই কয়েকটি পরীক্ষা জরুরি

টোকিও বাংলা নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৭ জানুয়ারি ২০২২

নারীদের বয়স ৩০ পার হলেই কয়েকটি পরীক্ষা জরুরি

ছবি:ইন্টারনেট

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।বিশেষ করে বয়স ৩০ পার হলেই কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধের  ক্ষমতা।৩০ পার হলেই কিছু কিছু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেই হবে, না হলে বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।অনেক অসুখই নিঃশব্দে বাস করে শরীরে। লক্ষণও প্রকাশ পায় না।বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছালে তবেই জানান দেয়।তাই উপযুক্ত পরীক্ষা না করালে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয় ও ক্ষতির শঙ্কা থেকে যায়।

নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়- শারীরিক নানান পরিবর্তন এবং তার সঙ্গে হরমোনাল স্বাস্থ্য যোগ হয়ে বয়স একটু বাড়তির দিকে গেলেই তার প্রতিক্রিয়া আসে বড় করে।

বয়সের সাথে সাধারণত যেসব সমস্যা সাধারণ বিষয়ের মতো করে মানুষের জীবনের সঙ্গী হয়ে যায় তার মধ্যে রয়েছে- পাচনতন্ত্রের সমস্যা,ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।

তাই বয়স ৩০ হয়ে যাওয়ার পর কিছু পরীক্ষা করে রাখা ভালো।এতে সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করা না গেলেও অনেক ক্ষেত্রে আগে থেকে ধারণা পাওয়া সম্ভব যে,কী অবস্থা শরীরের।

তেমন কয়েকটি পরীক্ষা হলো- 

জেনেটিক পরীক্ষা বয়স ৩০ পার হলে অনেক জিনঘটিত অসুখ মাথাচাড়া দেয়।এত দিন শরীরে যে অসুখ প্রকাশ পায়নি তা মিউটেশনের ফলে সে সব অসুখ প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে।জিনগত কোনো অসুখ দেখা দিচ্ছে কি না তা বুঝতে বছরে একবার অন্তত জেনেটিক টেস্ট করিয়ে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।ডিএনএ পরিবর্তন, ক্যানসারের ঝুঁকি ইত্যাদি বুঝতে এই ধরনের পরীক্ষা বিশেষ কার্যকরী।

কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) একটা বয়সে পৌঁছানোর পর সিবিসি খুবই প্রয়োজনীয় একটা পরীক্ষা।এ পরীক্ষা থেকে রক্ত শূন্যতা, সংক্রমণ এবং ব্লাড ক্যানসার জাতীয় ব্যাধিরও ইঙ্গিত পাওয়া যায়।এগুলো ছাড়াও রক্তে কী পরিমাণে লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা,হিমোগ্লোবিন এবং প্লাটিলেট রয়েছে, তাও জানা যায় এ পরীক্ষা থেকে।

লিপিড প্রোফাইল রক্তে চর্বির পরিমাণ জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।এটার জন্যই প্রয়োজন লিপিড প্রোফাইল।কোলেস্টেরলসহ একাধিক বিষয় পরিমাপের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা বা রক্তনালীতে কোনো সমস্যা থাকলে তারও ইঙ্গিত পাওয়া যায় এ পরীক্ষা থেকে।
লিভার ফাংশন

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ক্ষতি করে যকৃতেরও।বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়লে যেমন হেপাটাইটিসের শঙ্কা বাড়ে,তেমনি প্রোটিন ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা এদিক-ওদিক হলেও লিভারের অসুখ দানা বাঁধে।তাই সতর্ক থাকতে বছরে একবার সম্পূর্ণ লিভার ফাংশন টেস্ট করুন।

থাইরয়েড অনেকে বলেন প্রতি তিন মাস পর পর থাইরয়েড টেস্ট করা উচিত।থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ঋতুচক্রের গণ্ডগোল, প্রজননে বাধা।

ব্লাড সুগার এটিও একরকম শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায়।সুগার মানেই তার হাত ধরে নানান রোগ।চোখ, হার্ট থেকে লিভার কোনোকিছুই বাদ যায় না।প্রতি ৪ মাসে একবার সুগার টেস্ট করুন।সকালে হাঁটা অভ্যাস করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে ইনসুলিন অবশ্যই নিন।

প্যাপ স্মিয়ার মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি ৩০ পার হলেই করা জরুরি।জরায়ুমুখের ক্যানসার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এটি একটি সহজ পরীক্ষা।ইদানীং জরায়ুমুখের ক্যানসারের পরিমাণ যে হারে বেড়েছে, তাতে বছরে অন্তত একবার এই পরীক্ষা করিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

ইসিজি হৃদযন্ত্রের গতিবিধি জানতে বা শরীরে কোনো জটিল রোগের বীজ ঘাপটি মেরে আছে কি না তা বুঝতে বয়স ৩০ পেরোলেই ৬ মাস অন্তর ইসিজি করান।যারা এই বয়সে পৌঁছানোর আগেই হৃদরোগের শিকার হয়েছেন, তারা ইসিজির পরিবর্তে বছরে একবার টিএমটি করিয়ে রাখুন।হৃদযন্ত্রে কোনো প্রকার সমস্যা তৈরি হচ্ছে কি না, ব্লক রয়েছে কি না এগুলো জানতে বিশেষ সাহায্য করে টিএমটি।যত দ্রুত নির্ণীত হবে সমস্যা, তত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারবেন চিকিৎসা।অনেক সময় ওষুধের চেয়ে জীবনযাপনের কোনো কোনো দিক পরিবর্তন করেও কিছু অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

আর সি