টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকসহ ডুবোজাহাজ নিখোঁজ হয়েছে।সংসাবদমাধ্যম বিবিসি জানায় রবিবার ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় টাইটান নামের ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিবিসি জানায়,টুরিস্ট সাবমেরিনে পাঁচজন আরোহী রয়েছেন।মধ্য আটলান্টিকের গভীর জলরাশিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ডুবোযান উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে ।
পর্যটক প্রতিষ্ঠান ট্যুর অপারেটর ওশানগেট বলেন, টাইটানে থাকা পাঁচ আরোহীকে উদ্ধারের সম্ভব্য সব পথই তারা খতিয়ে দেখছে। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মার্কিন ও কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সমুদ্রে কাজ করা বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো।
ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে ১৯১২ সালে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রায় বিশাল আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তৎকালীন সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক। এতে দেড় হাজার মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল।
ওই ধাক্কায় দুই টুকরো হয়ে যায় টাইটানিক। বর্তমানে এর ধ্বংসাবশেষ রয়েছে আটলান্টিকের ৩ হাজার ৮০০ মিটার নিচে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর থেকে বহু সংস্থা এ নিয়ে গবেষণা করেছে।
টাইটানিকের ওই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে যায় পর্যটন সংস্থা ওশানগেট। সেজন্য তারা ব্যবহার করে কার্বন-ফাইবারের তৈরি ট্রাকের আকারের একটি সাবমারসিবল বা ডুবোযান, যার নাম টাইটান।
বিবিসি'র খবরে জানায়, টাইটানিক দেখার এই যাত্রা ছিল আট দিনের। নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে যাত্রা করেন পর্যটকরা।মাথাপিছু টিকেটের দাম আড়াই লাখ ডলার। সাধারণত চার দিন চলার মতো অক্সিজেন নিয়ে ডাইভ শুরু করে এই টুরিস্ট সাবমেরিন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডুবোযানটির সঙ্গে যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, তখনও টাইটানে ৭০ থেকে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল বলে তারা মনে করছেন।
এছাড়া সিবিএসের সাংবাদিক ডেভিড পোগ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ১৯ জুন জানান, অতল গভীরে হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটির ভেতর যারা আছেন, যদি তাদের খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে তারা কেউই বের হতে পারবেন না।কারণ বাইরে থেকে বেশ শক্তভাবে এটি বন্ধ করা আছে।যা ভেতর থেকে খোলা সম্ভব নয়।
ডেভিড পোগ ২০২২ সালে এ ডুবোজাহাজে করে টাইটানিক জাহাজটি দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, জাহাজটি খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি উদ্ধারকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।
আর সি