তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে এখনো শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবারও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। খবর বিবিসির।
৭ দশমিক ৪ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক হাজারের বেশি মানুষ। ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।
বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
দেশটির ভূমিকম্পবিষয়ক সংস্থা বলছে, তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে সময় ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং প্রায় পাঁচশর মতো ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়া টানেল, সড়ক এবং বাড়ি-ঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুয়ালিয়েনের রাস্তার পাশে জিনওয়েন এবং কিংশুই টানেলে আটকে পড়া ৭৭ জনকে উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার সকালেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ভূমিকম্পে তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ভবন ধসে পড়েছে, রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রেলসেবা ব্যহত হয়েছে এবং দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চল তাইওয়ানের অন্যান্য অংশ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এম কে এম