গাজায় ইসরাইলের নৃশংস অভিযানের ৬ মাস পূর্ণ হল রোববার (৭ এপ্রিল)।ছয় মাস ধরে চলতে থাকা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ হাজার ১৭৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।অন্যদিকে ১১৭০ জন ইসরাইলির মৃত্যু হয়েছে।
এতো সব ধ্বংসযজ্ঞের পর অবশেষে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল। ইতোমধ্যে দক্ষিণ গাজা থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কেবল একটি মাত্র ব্রিগেড রয়েছে অধিকৃত ভূখণ্ডটির দক্ষিণে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইসরাইল-হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওইদিন সকালে আচমকাই সীমানা পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। অন্তত ১১৭০ জন ইসরাইলির মৃত্যু হয় এই হামলায়। শতাধিক ইসরাইলিকে পণবন্দি করে হামাস।
এ ঘটনার পরে হামাসকে নিঃশেষ করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হাজারো বিরোধিতা, নিন্দার ঝড় সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় তিনি।
ছয় মাস ধরে চলতে থাকা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ হাজার ১৭৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের দাবি, ১২ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তাদের সেনা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ২৬০ জন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলি পণবন্দিদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১২ জনের দেহ ফেরত পাঠিয়েছে হামাস।
লাগাতার মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল ইসরাইল। দক্ষিণ গাজা থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে ইসরাইলি সেনার পক্ষ থেকে এ বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটিতে অভিযান চালাতে আগ্রহী ছিল ইসরাইল। তাদের দাবি, ওইখানেই রয়েছে হামাসের মূল ঘাঁটি। তাই হামাসকে পুরোপুরি শেষ করতে গেলে রাফায় অভিযান করতেই হবে। কিন্তু একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলের তোপের মুখে পড়েছে ইসরাইলের এ পরিকল্পনা।
এম কে এম