ছবি:দ্যা মাইনিচি
করোনা মহামারীর বিস্তার রোধে বিদেশী শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের উপর জাপানের কঠোর সীমান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।মঙ্গলবার জাপানি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিলো একদল বিক্ষোভকারী। এছাড়াও টুইটারে একদল বিক্ষোভকারী "জাপানের নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করুন" লিখে টুইট করেন।
জানা গেছে, জাপান সরকারের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং গবেষণার অভাব আছে বলে উল্লেখ করেন বিক্ষোভকারীরা।পদক্ষেপগুলোর পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এর আগে মঙ্গলবার বিদেশী শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা বন্ধের জন্য মঙ্গোলিয়া, পোল্যান্ড,ভারত এবং মালয়েশিয়ার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে বিক্ষোভকারী।
জাপানি দূতাবাস জানায়, এই মাসে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, স্পেন এবং আর্জেন্টিনাসহ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের প্রথম কেস নিশ্চিত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে জাপান প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছিলো জাপান সরকার। এর পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে আগামী ফেব্রুয়ারীর শেষ পর্যন্ত বিদেশী শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের জাপান প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ায় দেশটির সরকার।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, বেশিরভাগ বিদেশী শিক্ষার্থীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া রয়েছে এবং তারা জাপানে থাকাকালীন প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবস্থা মেনে চলবেন। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সরকারকে তারা অনুরোধ করেছিলেন সমস্ত বিদেশীদের আবার জাপান প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য।বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী প্ল্যাকার্ডের ছবিও আপলোড করেছে যা নির্দেশ করে যে তারা কত দিন আটকে আছে।
উল্লেখ্য,৮৭ জন বিদেশী শিক্ষার্থীদের জাপানে প্রবেশের অনুমতির বিষয়ে ইলিনয়ে ব্যারি বলেন,বিদেশী শিক্ষার্থীদের একটি ছোট অংশকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া একটি সংকীর্ণ মনের পদক্ষেপ এবং এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
আর সি