- শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

| পৌষ ৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩১ জানুয়ারি

টিবিএন বাংলাদেশ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১২ জানুয়ারি ২০২২

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩১ জানুয়ারি

ছবি:ইন্টারনেট

বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত  এই দিন ধার্য করেন।জানা গেছে ৯ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিনধার্য করেছিলেন আদালত।

এর আগে গত রবিবার মামলাটির যুক্তিতর্কের প্রথম দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম, আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা, আইনজীবী মোজাফফর আহমদ, আইনজীবী জিয়াউদ্দীন প্রমুখ আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

জানা গেছে,বিচারিক কার্যক্রমের যুক্তি-তর্ক পর্বের তৃতীয় দিনে প্রধান আসামি লিয়াকত আলীর আইনজীবীর পর ওসি প্রদীপের আইনজীবী আসামির সপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করলেও আদালতের কার্যদিবসের নির্ধারিত সময় পার হওয়া তা অসমাপ্ত ছিল।অসমাপ্ত সেই যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আজ চতুর্থ দিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। পরে বিচারক রায়ের জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে এ মামলার আসামি ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

এর পরে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য,২০২১ সালের ২৩ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়।  কক্সবাজার জেলা ও দায়রা আদালতে তখন ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলো।    

আর সি