ওমিক্রন ঠেকাতে গণপরিহনে অর্ধেক সিট খালি রাখার সরকারি ঘোষণায় বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।যাত্রী পরিবহণ হচ্ছে শতভাগ প্লাস।মানছেনা কেউ অন্য বিধিনিষেধও।মানানোর,এমনকি দেখারও যেন কেউ নাই।ওমিক্রন উদ্বেগে করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান সরকারি নিষেধাজ্ঞা বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো শুধু নয়,এ যেন কাজির গরু!কেতাবে আছে,গোয়ালে নাই।
মিডিয়ায় প্রচারিত সরকারি ঘোষণার বাস্তবায়ন বাস্তবে লেশমাত্রও নাই।এ আমার অনুমান বা শোনা কথা নয়; গতকালের সরেজমিন অভিজ্ঞতা।উত্তরা থেকে পল্টন বাসে গেলাম আসলাম।উভয় যাত্রায় বাস ছিলো যাত্রী বোঝাই।সিট খালি ছিলোনা একটাও।যে রড খালি ছিলো,তাও ধরে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলো। আর ভাড়া?কম না বেশী তার হিসেব রাখে ক'জন যাত্রী?আমি ভাড়া গুনেছি ৫০ করে ১০০ টাকা।কনডাক্টর চাহিবামাত্র বিনাবাক্য ব্যয়ে তা পরিশোধ করেছি।শুধু আমি নই,সবাই করেছে তা।
দু'একজন মিনমিনে গলায় সামান্য বাকবিতণ্ডা করলেও কনডাক্টর "মামা এটাই ভাড়া" বলার পর মিইয়ে গেছে তাদেরও গলা।এর কারণ,সবাই জানে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে বাসভাড়া বেড়েছে। এও সবাই জানে,সরকার জনগণের নয়, বাস মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই বাসভাড়া পুনঃনির্ধারণ করেছে।জনগণ এ নিয়ে ক'দিন যাত্রী বনাম হেল্পার- কন্ডাক্টরদের তুমুল কাইজ্যাও দেখেছে মিডিয়ার বদৌলতে।কিন্তু তারপর অন্যসব কিছুর মতো সবই ঠান্ডা।মনে হয়েছে আমার মতোই সবার অবস্থা।বর্তমানে কিলো প্রতি বাসভাড়ার সত্যিকার রেট কতো,এটা তেমন একটা কেউ জানেনা।বাসভাড়ার তালিকাও টাঙানো থাকেনা কোনো বাসে।তা থাকে শুধু মালিক পক্ষ আর সরকারি নীতি-নির্ধারকদের গালভরা বুলিতে।তার উপর আছে মানইজ্জতের ভয়।দু'একজন ছাড়া ছাপোষা যাত্রীদের কেউ বেয়াদব হেল্পার আর কনডাক্টরদের সাথে বাকবিতণ্ডা,হাতাহাতিতে যেতে চায়না।
এরবাইরে কোথাও কোনো নজরদারী কর্তৃপক্ষের টিকিটিরও দেখা মিললো না।মাস্ক ব্যবহারের অবস্থাও তথৈবচ।কারো নাই,কারো গলায়,কারো পকেটে!অবশ্য কারো কারো নাকে আর মুখে।সবমিলিয়ে মোদ্দা কথা,করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান কাগুজে সরকারি বিধিনিষেধ থোড়াই কেয়ার করছে আমজনতা।এদিকে ভ্যাকসিন নিতে জনগণের আগ্রহ যে দিনকেদিন কমছে,তা স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়েরই ঘোষণা।এই যখন সার্বিক অবস্থা,কি আর করা!একমাত্র আল্লাহ্ই ভরসা!
আর সি
"এই বিভাগে প্রকাশিত মুক্তমতের সকল দায়ভার লেখক নিজেই। টোকিও বাংলা নিউজ কোনভাবেই এই বিভাগে লেখক কিংবা লেখার বিষয়বস্তুর দায়ভার নিচ্ছে না।"