বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বারোটা বেজে গেছে অনেক আগেই, সেখানে শিল্পী সমিতির এতটা আলোড়িত-আলোচিত নির্বাচন সত্যিই অবাক করবার মতো।মাত্র ৪২৮ জন্য ভোটারের এ নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো বটেই সারাদেশ রীতিমতো সরব ছিল।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র প্রত্যাশা নেই। কেননা প্রত্যাশা করেও লাভ নেই। তবুও আশা করতে মানা নেই, স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই। সেই হিসেবে নতুন নেতৃত্ব কতটা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেখাবার বিষয়।
ব্যক্তি ইলিয়াস কাঞ্চন আমার প্রিয় মানুষ। তাঁকে যতটা না নায়ক হিসেবে, তার চাইতে বেশি সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভালোবাসি।অনেক সুপার-ডুপার ছবি উপহার দিয়ে দর্শকদের মনে যেমন ঠাঁই করে নিয়েছেন, তেমনি 'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান 'ওয়ালটন'-এর সাথে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি সুনামের জায়গায় দাঁড় করেছেন।
হাজারো সুনাম থাকলেও এবারে সমূহ ঝুঁকি মাথায় তুলে নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ❝ভালো মানুষ থেকে ভালো নেতা হওয়া আকাশ-পাতাল ব্যবধান।❞ নেতৃত্বের জায়গায় সবাইকে খুশি করতে পারা বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর জন্য সামনের দিনগুলো নেগেটিভও হতে পারে।
অবস্থাদৃষ্টে যাই হোক,অন্তত মুখে 'ফেনা তোলা' লেজুড়বৃত্তি যেন না হয় কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের পক্ষে। শিল্পী ও চলচ্চিত্রের স্বার্থরক্ষা তথা দেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সমুন্নত রাখাই হোক দলবাজি।
আর সি
"এই বিভাগে প্রকাশিত মুক্তমতের সকল দায়ভার লেখক নিজেই। টোকিও বাংলা নিউজ কোনভাবেই এই বিভাগে লেখক কিংবা লেখার বিষয়বস্তুর দায়ভার নিচ্ছে না।"