ছেলেবেলায় একটা অঙ্ক কষতে হতো, তৈলাক্ত বাঁশে বাঁদরের ওঠা-নামা। একটা সময়ের মধ্যে বাঁদরটি তিন পা ওঠে, দুই পা পড়ে যায়। তারপরও অপেক্ষা চূড়ায় কখন পৌঁছবে? রাষ্ট্র ও রাজনীতির অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের ভাগ্য নিয়ে এমন জটিল অংকের খেলা দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রম বঙ্গ সন্তান শ্রমিক রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র আইএনটিটিইউসি'র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত ব্যানার্জি। বরং শ্রমিক সমাজ কে নিয়ে সরব থাকাটাই তার ব্রত । ভারতবর্ষের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার জনগণমন অধিনায়িকা, বাংলার অক্সিজেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সুযোগ্য সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহ অনুপ্রেরণায় এই বঙ্গে শ্রমিকের এনার্জি হয়ে উঠেছেন ঋতব্রত ব্যানার্জি।
ইতিমধ্যে যিনি বাংলার শ্রমিক সমাজের কাছে পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। নির্ভীক ভয়-ভীতিহীন ভাবে তিনি অধীনস্থদের নিয়ে প্রত্যাশিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলছেন। ফলে মোহনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ঋতব্রত ব্যানার্জির আচরন সবাইকে মুগ্ধ করে। সুদূরপ্রসারী ঋতব্রত ব্যানার্জি একদিকে লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেমন পরিকল্পনামাফিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন অন্যদিকে জরুরি প্রয়োজনে বা যে-কোনো সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি সক্ষম। তার রয়েছে সকল অবস্থায় দায়-দায়িত্ব গ্রহনের মানসিকতা। রয়েছে যে-কোনো মুহুর্তে যে-কোনো যৌক্তিক ঝুঁকি গ্রহণ করার মন মানসিকতা। তিনি সংগঠনের সংশ্লিষ্টদের সাথে এমন যোগাযোগ কৌশল নির্ধারন করেন তাতে সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। সকলের প্রতি বন্ধু প্রতিম। তিনি সকলের বন্ধু ও দুর্দিনের সহায়ক হিসেবে রয়েছেন। যে-কোনো বিপদে নেতা ভেঙ্গে না পড়ে সাহসের সাথে এগিয়ে উদ্যমি মনোভাব নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নেতৃত্বে নাম ঋতব্রত ব্যানার্জি।
পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সংগঠন পরিচালনা না করে কর্মীর ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার অসীম ক্ষমতা রয়েছে তার নেতৃত্বের মধ্যে। দায়িত্ব পালনে তার মত নমনীয় মনোভাব সম্পন্ন মানুষ সচরাচর পাওয়া কষ্টকর। আপাদমস্তক গণতন্ত্রমনস্ক ঋতব্রত ব্যানার্জির একটি সেরা সৌন্দর্য। তিনি পরমতের প্রতি স্রদ্ধাশীল। সবার মতামতই সমান গুরুত্ব দিয়ে শুনেন এবং উপযুক্ত হলে কাজে লাগান।
উনজিলা খাতুন শিল্পি
আর এ
"এই বিভাগে প্রকাশিত মুক্তমতের সকল দায়ভার লেখক নিজেই। টোকিও বাংলা নিউজ কোনভাবেই এই বিভাগে লেখক কিংবা লেখার বিষয়বস্তুর দায়ভার নিচ্ছে না।"