ছবি:দ্যা মাইনিচি
ডিকার্বনাইজেশন কারিগরি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে জাপান ও সৌদি আরব।জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রবিবার জেদ্দায় এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই সম্মতি জানান তারা।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানায়,১৬জুলাই জেদ্দায় এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি "কৌশলগত সংলাপ" শুরু করতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানায়,জাপান তেলের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার নিশ্চয়তা চাইছে, অন্যদিকে সৌদি আরব আরও বহুমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য উন্নত জাপানি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের উপর ব্যাংকিং করছে।
মন্ত্রনালয় আরও জানায়,বৈঠকে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার ২৬টি স্মারক স্বাক্ষর করেছে কিশিদা এবং ক্রাউন প্রিন্স।এছাড়া রিয়াদকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণের প্রযুক্তি এবং হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়াকে পরিষ্কার জ্বালানীর উৎস হিসেবে ব্যবহারে উদ্ভাবন প্রদান করেছে টোকিও।
জাপান তার ব্যবহার করা প্রায় সমস্ত অপরিশোধিত তেল আমদানি করে সৌদি আরব থেকে।ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সম্প্রতি তেলের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
সৌদি আরব তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে।এছাড়া ২০৩০ সালের অর্থনৈতিক সংস্কার ব্লুপ্রিন্টের অধীনে একটি শক্তিশালী বেসরকারি-খাতের অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে সৌদি।পাশাপাশি জাপানের জ্বালানি প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী সৌদি আরব।
ক্রাউন প্রিন্সের সাথে বৈঠকের পরে কিশিদা বলেন,আমরা তেল আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকের বিদ্যমান সম্পর্ক থেকে সরে যাচ্ছি এবং ডিকার্বনাইজেশন যুগের জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
এছাড়া রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর তেলর দাম বেড়ে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য তাদের যৌথ প্রচেষ্টার পুনর্ব্যক্ত করেছে কিশিদা।
উল্লেখ্য,রবিবার থেকে চারদিনের সফরে আছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।সৌদি আরব সফরের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা।
আর সি