গত ১ বছরের সাফল্য-ব্যর্থতার যে চিত্র তা কোনভাবেই দেখা যাচ্ছে না টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের মধ্যে। তা না হলে কিছুদিন আগেও অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে টাইগারদের কাছে নাকানি-চুবানি খেলেও এখন ভিন্ন চিত্রের আবির্ভাব ঘটছে টি-২০ বিশ্বকাপের এ আসরে। এমন কথা যখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচক-সমালোচকদের মুখে ঠিক তখনই ১১ গজে আবারো বাঘের গর্জন শোনা গেল। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সাথে কিছুটা খেই হারিয়ে বড় ধরনের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তার রেশ দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা দেখা গেলেও ঘুমন্ত বাঘ জেগে উঠলে যে তার স্বরুপে ফিরে আসবে তা হয়তোবা ওমানের ক্রিকেট দলের জানা ছিল না। তাইতো বাংলাদেশের ১৫৩ রানকে তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করা পর্যন্ত ওমান দলের প্রত্যেকের মধ্যেই ছিল জয় উদযাপনের আমেজ। কিন্তু ঐ যে ঘুমন্ত বাঘ !
তাইতো ১৭ তম ওভারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২ উইকেট নিয়ে বাঘের হাই তোলার সংকেত দেন।
এরপর সাকিবকে অনুসরণ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিও দুটি উইকেট নিলে ওমানের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায়। অবশেষে ২৬ রান পিছনে থেকেই বাঘের শিকার হতে হয় ওমানকে।
এর আগে এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওমানের মতো দলের বিপক্ষে ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
তৃতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৮০ রানের জুটি। দলীয় ১০১ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার আগে ২৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৪২ রান।
ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে চারে খেলতে নেমে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। চার বলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান নাঈম শেখ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সৌম্যর কারণে একাদশে জায়গা হয়নি নাঈমের।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ সাবধানি ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণেই ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।
তবে শেষ চার ওভারে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে শেষ ২৪ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ১৬.৪ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৬৪ রান।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। তাসকিন আর মোস্তাফিজ মিলে ২ ওভারেই দিলেন ৯টি অতিরিক্ত রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই করলেন ৫টি ওয়াইড ! মাহমুদউল্লাহ ছাড়লেন ক্যাচ।
সব কিছুর পরে এখন দেখা যাক, জেগে থাকা বাঘকে পরবর্তীতে কিভাবে সামলায় বাকী দলগুলো !
আর এ/আর এ এস