- শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

| পৌষ ৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের বিবাহবিচ্ছেদ কি হয়ে গেল? 

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১০ নভেম্বর ২০২২

সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের বিবাহবিচ্ছেদ কি হয়ে গেল? 

সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই ক্রমাগত চর্চা চলছে। তারকা দম্পতির কেউই এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে শিলমোহর দিলেন দু’জনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। যিনি আবার শোয়েবের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বন্ধুটি জানিয়েছেন, ‘দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এখন আলাদা থাকাও শুরু করে দিয়েছেন। এর বেশি এখন আর কিছুই বলতে পারব না।’

কিছু দিন আগে পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, সানিয়া এবং শোয়েব একসঙ্গে থাকছেন না। তাঁদের একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিককে যদিও তাঁরা একসঙ্গেই দেখাশোনা করছেন বলে জানা গিয়েছে। শোয়েবের অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সে কারণেই ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই গুঞ্জন আরও বেড়েছিল সানিয়ার কিছু পোস্টের পর।

ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে সানিয়া লিখেছিলেন, “ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? ঈশ্বর খুঁজতে।” ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা ছেলেদের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে ইজহান তাঁকে চুমু খাচ্ছে। সেই সঙ্গে সানিয়া লিখেছিলেন, “যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।”

ফেসবুকে একটি পোস্টে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা লিখেছিলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমাদের জীবনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে নিয়ে প্রকাশ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছে, যাতে আমি এবং আমার পরিবার বিধ্বস্ত। অর্ধেক সত্যের দ্বারা তৈরি হওয়া আমাদের জীবনের একটি বিষয়কে নিয়ে অনেকেই আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে বিরক্ত করছেন এবং একের পর এক প্রশ্নের দ্বারা উত্ত্যক্ত করছেন। শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জা গত ১২ বছর ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছে। বাকিদের মতোই ওদের জীবনেও ওঠানামা রয়েছে। টম, ডিক, হ্যারির মতো কিছু কিছু ব্যক্তি সেটাকে নিয়ে উত্তেজক কাহিনি তৈরির করার চেষ্টা করছে, যা আমরা কোনও মতেই সমর্থন করি না।”
ইমরান আরও লিখেছিলেন, “জীবনের সব উত্তর হ্যাঁ বা না-তে হয় না। ক্রীড়াজগতে ওরা দু’জনেই আদর্শ। পরিবারের কথা মাথায় না রেখে নিজেদের গোটা জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে দেশকে গর্বিত করতে। ওরা অন্তত আরও বেশি সমীহ প্রত্যাশা করে। এখন অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ চলছে! দয়া করে নিজেদের দেশকে সমর্থন করার দিকে মনোযোগ দিন!” (আনন্দবাজার)
 

আর এ