বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের অধিকাংশ মানুষ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভোগেন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। জাপান সরকারের এক জরিপে এমন চিত্র ওঠে এসেছে। জরিপ অনুসারে, রেকর্ড সংখ্যক ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতা এমন অবস্থান জানিয়েছেন। রবিবার (৩১ মার্চ) মন্ত্রিসভা কার্যালয়ের জরিপের কথা উদ্ধৃত করে টোকিওভিত্তিক কিয়োডো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
কিয়োডো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক চাপ অনুভব করা মানুষের হার ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ পয়েন্ট। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই হার বেড়েছে।
জরিপে ১৮ বছর বয়সী বা বেশি বয়সের তিন হাজার মানুষের মধ্যে ৫৭ শতাংশ উত্তর দিয়েছেন। জরিপটি গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পরিচারিত হয়।
জরিপে উত্তরদাতাদের ৬৯ দশমিক ৪ শতাংশের মতে, মূল্যস্ফীতি জাপানকে নেতিবাচক দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বড় একটি অংশ দেশের অর্থনীতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
২০২৩ সালে জাপানের মৌলিক ভোক্তা মূল্য ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যা ছিল গত ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিপরীতে ওই বছর প্রকৃত মজুরি টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কমেছে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ। সরকারি তথ্য অনুসারে, মজুরি বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে পারেনি।
জরিপের ফল অনুসারে, অংশগ্রহণকারীদের ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ শিশু লালনপালনে সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। ২৮ দশমিক ২ শতাংশ বলেছেন তরুণদের পক্ষে স্বাধীন থাকা খুব কঠিন। নারীরা সমাজে কোনও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারছেন নাবলে মনে করেন ২৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ জানিয়েছেন তারা তাদের কর্মক্ষেত্রের সন্তুষ্ট নন।
বেসরকারিভাবে নভেম্বরে পরিচালিত এক জরিপ অনুসারে, একাধিক উপার্জনকারী থাকা পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা।
সরকারি জরিপে ওঠে আসা ইতিবাচক দিক হলো, ২৫ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, জাপানের চিকিৎসা ও কল্যাণ সেবা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এম কে এম