জাপানের লোকমুখে প্রচলিত আছে নানা রকম ভৌতিক গল্প।শোনা যায় জাপানের আনাচে কানাচে দেখা পাওয়া যায় অনাহূত অতিথিদের (ভুতূ)!এবার ভুত দেখা গল্প নয় জাপানের রাজধানী টোকিও'তে আছে দৃশ্যমান এক ভুতূড়ে সিঁড়ি। টোকিও'র নেজু জেলায় এই ভুতূড়ে সিঁড়ির অবস্থান।
আমরা অনেকেই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় কয় পা বেয়ে উঠলাম তার হিসাব কষি মনে মনে! ধরুন আপনি ৪০টি সিঁড়ি ভাঙলেন, তারপর নামার সময় গুণে দেখলেন ৩৯!তাহলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন, হয়তো ভাববেন গুণতে ভুল হয়েছে! এরপর আবার যখন একইভাবে গুণে দেখবেন ওঠার সময় ৪০টি সিঁড়ি বেয়েছেন কিন্তু নামার সময় তা হয়ে যাচ্ছে ৩৯।তখন নিশ্চয়ই আপনার গা শিউরে উঠবে! ভুতূড়ে সিঁড়ি ভেবে সেখান থেকে দৌড়ে পালাবেন নিশ্চয়ই!
ঠিক এমনই এক রহস্যময় সিঁড়ি আছে টোকিও'তে। যার নাম অবাকে কায়দান। এটি মূলত একটি পাথুরে সিঁড়ির নাম।টোকিও'র নেজু জেলায় এই সিঁড়ির অবস্থান। যা বেয়ে ওঠার সময় উঠতে হয় ৪০ ধাপ কিন্তু নামার সময় কমে যায় এক ধাপ।
অদ্ভুত এই বৈশিষ্ট্যের জন্য স্থানীয়রা সিঁড়ির নাম দিয়েছেন অবাকে কায়দান। জাপানি ভাষায় অবাকে মানে ভূত। আর কায়দান লো সিঁড়ি। অর্থাৎ ভূতের সিঁড়ি।
অন্ধকার গলিতে এক ফালি সিঁড়ি। তার উঁচু-নিচু ধাপ ও স্যাঁতসেতে আলো আঁধারি পরিবেশ গায়ে কাঁটা দেওয়ার উপক্রম ঘটায়। এখন অবশ্য টোকিওর ওই সিঁড়ি অনেকটাই প্রশস্ত।ঝকঝকে রেলিংও বসেছে তার মাঝ বরাবর। তবে পুরোনো সিঁড়ির ফালিটি এখনো বর্তমান। টোকিওতে যারা ঘুরতে যান তাদের কাছে এই সিঁড়ি দর্শনীয় একটি স্থান।
এই সিঁড়ি নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত আছে নানা কাহিনি। কেউ বলেন, সিঁড়িটি কবরখানার পাথর দিয়ে তৈরি।টোকিও'র স্থানীয় লোকদের মতে, সিঁড়িটি সেই সব মানুষের সমাধির পাথর দিয়ে তৈরি যাদের মৃত্যু হয়েছে গোপনে, আড়ালে, যা সাধারণের কাছ থেকে লুকাতে চাওয়া হয়েছে এমন লোকদের সমাধির পাথর দিয়ে।
তবে এই ভূতের সিঁড়ির রহস্যের সমাধান আছে সবার চোখের সামনেই। যা অনেকেই খেয়াল করেন না। এই পাথুরে সিঁড়ির প্রথম ধাপটি প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে আছে।যা ওঠার সময় চোখে পড়লেও নামার সময় কারও চোখে পড়ে না।টোকিও'র ভূতের সিঁড়ির রহস্য এটিই ।
আর সি