- রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

| পৌষ ৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

পর্বতারোহণের জন্য ১ জুলাই খুলবে মাউন্ট ফুজি

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২৫ জুন ২০২৩

পর্বতারোহণের জন্য ১ জুলাই খুলবে মাউন্ট ফুজি

ছবি:দ্যা মাইনিচি

পর্বতারোহণের জন্য ১ জুলাই খুলবে মাউন্ট ফুজি।চলতি বছরের পর্বতারোহণের মরসুম ১ জুলাই থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলার জন্য নির্ধারিত করেছে জাপান সরকার।করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চলতি বছরে প্রথম চালু হচ্ছে মাউন্ট ফুজি।পর্বতারোহণের সময় নির্ধারন হওয়ায় ইতিমধ্যে ফুজি চূড়ায় যাওয়ার পথে পাহাড়ের কুঁড়েঘর সংরক্ষিত রয়েছে।

সরকারি সূত্র থেকে জানায়, জাপান এবং বিদেশ থেকে অনেক লোক মাউন্ট ফুজি পর্বতের শীর্ষ থেকে সূর্যোদয় দেখতে ভিড় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।জাপানের এই সর্বোচ্চশৃঙ্গ জয় করার স্বপ্ন দেখে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষ।

মাউন্ট ফুজি আরোহনের জন্য বুকিং দিতে হয় পাহাড়ের কুঁড়েঘর।ইতিমধ্যে মাউন্ট ফুজির ইয়ামানাশি প্রিফেকচারের স্থানীয় সরকারগুলি পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমিত করার জন্য প্রিফেকচারাল সরকারের কাছে একটি অনুরোধ জমা দিয়েছে।

প্রিফেকচারাল সরকার জানায়,অনুরোধ গ্রহণ করা অসম্ভব কারণ করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চলতি বছরে প্রথম চালু হচ্ছে মাউন্ট ফুজি তাই পর্বতারোহণের জন্য পর্বতারোহীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না সরকার।

পাহাড়ের কুঁড়েঘরের মালিকদের একটি গ্রুপের প্রধান ওসামু নাকামুরা বলেন,আমি খুশি যে এত মানুষ পাহাড়ে উঠতে চায়, কিন্তু যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তা ক্ষতি।আমরা চাই মানুষ যুক্তির মধ্যে থেকেই আনন্দ করুক।

এছাড়া মাউন্ট ফুজি আরোহণে পর্বতারোহীদের সাবধানে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইয়ামানাশি প্রিফেকচারাল পুলিশ।

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হনশু দ্বীপে তুষার-আবৃত একটি সুউচ্চ ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি, এটি বিশ্বজুড়ে ‘মাউন্ট ফুজি’ নামে পরিচিত।

‘মাউন্ট ফুজি’ বা ‘ফুজি সান’ জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, এর উচ্চতা ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার বা ১২ হাজার ৩৮৯ ফুট। শুধু তাই নয়, ফুজি সান এশিয়ার যে কোন দ্বীপে অবস্থিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে মাউন্ট কেরিন্সি-এর পর। এটি পৃথিবীর যে কোন দ্বীপে অবস্থিত সপ্তম সর্বোচ্চ শিখর। এছাড়া এটি জাপানের তিনটি পবিত্র পর্বতের মধ্যে একটি, তাই জাপানিরা ফুজি সান-কে সম্মান করে থাকে।

উল্লেখ্য,জাপানিদের কাছে ‘ফুজি সান’ কেবল একটি ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি বা পর্বত নয়, জাপানের ইতিহাস জুড়ে সমস্ত জাপানি জনগণের জন্য একটি সাহসের উৎস হওয়ার পাশাপাশি অন্যতম জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীকও বহন করে এটি। ইতিহাস বলে ১৭০৭-১৭০৮ সালের দিকে শেষবারের মত এখানে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল।

আর সি